Getlike

Wednesday, June 26, 2024

টেক্সটাইল প্রিন্টিং কাকে বলে











টেক্সটাইল জগতে প্রিন্টিং একটি সুপরিচিত নাম। টেক্সটাইলে অল ওভার প্রিন্টিং সেক্টরে যারা কাজ করেন তারা অবশ্যই প্রিন্টিং কি এবং কাকে বলে কমবেশি ধারণা হয়তো সবারই আছে। কারণ কাপড় জগতে আমরা যে কাপড় পরিধান করি প্রিন্টের ছোয়া সব ক্ষেত্রেই তা দেখা যায়। তাই আসুন টেক্সটাইলে প্রিন্টিং কাকে বলে বিস্তারিত জেনে নেই। প্রিন্টিং শব্দটি একটি লেটিন শব্দ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে যার অর্থ হলো প্রেসিং বা চাপ দেওয়া । ইহা একটি একটি পদ্ধতিকে বোঝায় ।যা চাপ দেওয়া প্রক্রিয়াকে ব্যবহার করে। । টেক্সটাইল প্রিন্টিং হলো কোন ফেব্রিকের বিভিন্ন স্থান স্থায়ীভাবে রঙের বিভিন্ন প্যাটার্ন বা ডিজাইন অনুযায়ী রঙিন করার প্রক্রিয়া যেখানে রঙিন পদার্থ হিসাবে ডাই পিগমেন্ট বা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কেমিক্যাল বা পদার্থ ব্যবহার করা হয়। আরো সহজ ভাষায় বলতে গেলে কাপড়ের কোনো ফিনিসড পন্যের উপর বিভিন্ন রঙের প্যাটার্ন বা ডিজাইন প্রয়োগ করে কাপড়কে সজ্জিত করার পদ্ধতি হলো প্রিন্টিং । সঠিকভাবে প্রিন্ট কাপড়ে রঙ কাপড়ের ফাইবারের সাথে এমনভাবে মিশিয়ে দেওয়া হয় যাতে তা সূর্যলোক বা পানির সংস্পর্শে আসলেও উক্ত প্রিন্টের রঙ ধরে রাখতে পারে। 

 চলবে............

Monday, September 4, 2023

FLATBED PRINTING TECHNOLOGY

 FLATBED PRINTING TECHNOLOGY

.











ফ্ল্যাটবেড স্ক্রীন প্রিন্টিং মেশিনের কিছু বৈশিষ্ট্য দেয়া হলো।
১. ফ্ল্যাটবেড ক্রীন প্রিন্টিং মেশিনের স্ক্রীনটি সমতল। পলিয়েস্টার মেস বা বলটিং কাপড় দিয়ে তৈরি যা 100% টান দিয়ে অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেমের সাথে যুক্ত করা হয় ।
যে কোনও ধরণের মেজারমেন্টের ডিজাইন ফ্ল্যাটবেড স্ক্রিনে ডেভেলপ করা যেতে পারে। সেই জন্য বিভিন্ন আকারের স্ক্রীন ব্যবহার করা হয়।
ফ্ল্যাটবেড স্ক্রীন প্রিন্টিং 12 টিরও বেশি কালার প্রিন্ট করতে পারে।
প্রতি মিনিটে ফেব্রিক প্রিন্টের হার 15-20 গজ।
প্রিন্ট করার সময় ফ্ল্যাটবেড ক্রীনে ম্যানুয়ালি কালার দেওয়া হয়। এখানে রঙের অপচয় কম হয়।
বাংলাদেশে প্রতি স্ক্রিনের ফ্ল্যাটের জন্য মূল্য প্রায় ৩-৪ হাজার টাকা
প্রিন্টের সময় যদি প্রিন্টটি 100% বডি কভারেজ ডিজাইন হয় তবে রিপিট মার্ক বা জয়েন্ট মার্ক দেখা যেতে পারে ।
স্মুথলি ডিজাইন ও শার্পনেজ ডিজাইনগুলো ফ্লাটবেড মেশিনে তুলনামূলকভাবে অনেক ভাল হয়ে থাকে ।
ফ্লাটবেড প্রিন্টংএ ডিজাইন সেট করার সময় ফেব্রিক অপচয় কম হয়ে থাকে ।
ফ্ল্যাটবেড স্ক্রীন প্রিন্টিং মেশিনে যে কোনও ধরণের ডিজাইন প্রিন্ট করা যায়।
যে কোনও ধরণের ফেব্রিক প্রিন্ট করা যায় এবং শার্পনেজ প্রিন্টগুলো গুণগত মান ভালো হয়ে থাকে ।
মেশিনটি চলার সময় স্ক্রীন ভাঙার কোনও সম্ভাবনা নেই।
ফ্লাটবেড প্রিন্টের সময় ফ্রেমের উপর রাবার স্কুজি চাপ দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করা হয়।
প্রিন্ট করার সময় রাবার স্কুজিগুলো অটোমেটিক আপ ডাউন হতে থাকে স্লোলি সুতরাং স্ক্রীনে পিনহোল বের হওয়ার সম্ভাবনা রোটারি স্ক্রীন মেশিনের চেয়ে কম।
স্ক্রীন প্রস্তুতি প্রক্রিয়া সহজ। প্রায় প্রতিটি স্ক্রীন ডেভেলপ করতে 20 থেকে 40 মিনিট সময় নেয়।
স্ক্রিনটি ডেভেলপের পরে এবং ফ্ল্যাটবেড মেশিনে সেট করার আগে কটিং ক্যামিকেল হার্ডেনার ক্যামিকেল ব্যবহার করে শক্ত করা হয়।
স্ক্রিনটি কটিং করার আগে Photo Emulation SP-1300-HV এবং TXR ব্যবহার করে স্ক্রীনটি এক্সপোজিং করা হয় । কটিং এর জন্য, প্রতিটি স্ক্রিনের জন্য প্রায় 200 গ্রাম ক্যামিকেল প্রয়োজন।
CMYK ডিজাইন ফ্ল্যাটবেড স্ক্রিন প্রিন্টিং মেশিনে নিখুঁতভাবে প্রিন্ট করা যায়।
ফ্ল্যাটবেড প্রিন্টিং মেশিন স্বল্প পরিমাণ প্রোডাকশনের জন্য লাভজনক।
ফ্ল্যাটবেড স্ক্রীন প্রিন্টিং মেশিনের প্রাথমিক ইনস্টলেশন ব্যয় কম। সুতরাং, এটি সস্তা।
ভার্টিকেল স্ট্রাইপ ডিজাইনগুলো প্রিন্ট করা অনেক কঠিন হয়ে যায় কারণ রিপিট মার্ক বা জয়েন্ট মার্ক দেখা যায় প্রিন্ট করার সময়।
ফ্ল্যাটবেড স্ক্রিন প্রিন্টিং মেশিনে ডিস্পার্স ও রিভার্স প্রিন্ট ভালভাবে করা হয় না।
লেজার এক্সপোজিং মেশিনে, 1 পিক্সেল লাইন, 1-পিক্সেল ডট, বা স্প্রে জাতীয় ডিজাইনগুলো স্ক্রিনে পারফেক্টভাবে খোলে। ফলস্বরূপ, স্ক্রিনটি ডেভেলপের পরে, ডিজাইনের লাইন বা ডটের ধরণ সম্পূর্ণ বায়ারের ডিজাইনের সাথে মেলে।
যদি ফ্ল্যাটবেড স্ক্রীন প্রিন্টিং মেশিনে ফেব্রিক প্রিন্ট হয় তবে ফ্যাব্রিকে মেটাল (নিকেল) ধরা পরার কোনও সম্ভাবনা নেই। সুতরাং, অবশ্যই নিকেল পরীক্ষা পাস হয়ে যায় ।
ফ্ল্যাটবেড স্ক্রিন প্রিন্টিং মেশিনে স্কুজি চাপের সীমাবদ্ধতা নেই।
প্রোডাকশনের পরে স্ক্রীনগুলো পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে রাখতে হয় না হলে ডিজাইনে খোলা যায়গাগুলো ব্লক হয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রোডাকশন চালানো যায় না
একটি স্ক্রিন 3/4 বার পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
,


ধন্যবাদ ভালোলাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন পরবর্তীতে আরো এমন পোষ্ট পেতে আশাকরি সাপোর্ট করবেন এবং
এর সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ

Thursday, August 24, 2023

কালার কি বিস্তারিত জানুন

 কালার (Colour) কি?


কোন বস্তু দ্বারা আলোর বিচ্ছুরণ বা তার মধ্য দিয়ে আলো প্রতিসরণ অথবা তা থেকে প্রতিফলিত আলো দ্বারা সৃষ্ট এক ধরনের চাক্ষুস অনুভূতিই হল কালার (Colour)।


কালার কত প্রকার ও কি কি?

কালার প্রধানত দুই প্রকারঃ

• পিগমেন্ট থিওরি

• লাইট থিওরি








পিগমেন্ট থিওরি অনুযায়ী কালার কত প্রকার?

পিগমেন্ট থিওরি অনুযায়ী কালার তিন প্রকারঃ

• প্রাইমারী (Primary)

• সেকেন্ডারি (Secondary)

• টারশিয়ারি (Tertiary)


পিগমেন্ট থিওরি অনুযায়ী প্রাইমারী (Primary) কালার গুলো কি কি?

পিগমেন্ট থিওরি অনুযায়ী প্রাইমারী (Primary) কালার গুলো হলঃ

• লাল (Red)

• হলুদ( Yellow) 

• নীল (Blue) 


পিগমেন্ট থিওরি অনুযায়ী সেকেন্ডারি (Secondary) কালার গুলো কি কি?

পিগমেন্ট থিওরি অনুযায়ী সেকেন্ডারি (Secondary) কালারগুলো হলঃ

• সবুজ (Green) 

• বেগুনি (Violet) 

• কমলা (Orange) 


পিগমেন্ট থিওরি অনুযায়ী টারশিয়ারি (Tertiary) কালার গুলো কি কি?

পিগমেন্ট থিওরি অনুযায়ী টারশিয়ারি (Tertiary) কালারগুলো হলঃ

• ব্রাউন (Brown)

• গ্রে  (Grey)

• অলিভ (Olive)





লাইট থিওরি অনুযায়ী কালার কত প্রকার?

লাইট থিওরি অনুযায়ী কালার তিন প্রকারঃ

• প্রাইমারী (Primary)

• সেকেন্ডারি (Secondary)

• টারশিয়ারি (Tertiary)


লাইট থিওরি অনুযায়ী প্রাইমারী (Primary) কালার গুলো কি কি?

লাইট থিওরি অনুযায়ী প্রাইমারী (Primary) কালার গুলো হলঃ

• লাল (Red)

• নীল (Blue) 

• সবুজ (Green) 


লাইট থিওরি অনুযায়ী সেকেন্ডারি (Secondary) কালার গুলো কি কি?

লাইট থিওরি অনুযায়ী সেকেন্ডারি (Secondary) কালারগুলো হলঃ

• বেগুনি (Violet) 

• নীলাভ সবুজ (Cyan) 

• হলুদ ( Yellow) 


লাইট থিওরি অনুযায়ী টারশিয়ারি (Tertiary) কালার গুলো কি কি?

লাইট থিওরি অনুযায়ী টারশিয়ারি (Tertiary) কালারগুলো হলঃ
হলুদ

• সবুজ সবুজ নীল (Green Green Blue) 

• নীল নীল সবুজ ( Blue Blue Green) 

• বেগুনি (Violet)






Wednesday, August 23, 2023

GSM কি?

 GSM কি?


GSM মানে হলো Gram Per Square Meter. অর্থাৎ প্রতি বর্গমিটার কাপড়ের কত গ্রাম কাপড় আছে তার পরিমাণ। এটি Knit Fabric এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটার। কোন কাপড় এর GSM যত বেশি হবে সেই কাপড়টি তত মোটা হবে এবং ওজনে বেশি হবে । সমান যায়গা দখল করে এরকম দুই টুকরা কাপড়ের যার GSM বেশি তার ওজন তত বেশি। ধন্যবাদ 


Wednesday, December 14, 2022

What is The Printing in Textile Sector


 টেক্সটাইল প্রিন্টিং কি, প্রিন্টিং কাকে বলে?


প্রিন্টিং শব্দটি একটি ল্যাটিন শব্দ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে যার অর্থ হল “pressing” বা চাপ দেওয়া। ইহা একটি পদ্ধতিকে বুঝায় যা চাপ দেওয়ার প্রক্রিয়া ব্যবহার করে।


টেক্সটাইল প্রিন্টিং হল কোন ফেব্রিকের বিভিন্ন স্থান স্থানীয়ভাবে রঙের বিভিন্ন প্যাটার্ন বা ডিজাইন অনুযায়ি রঙিন করার প্রক্রিয়া যেখানে রঙিন পদার্থ হিসাবে ডাই, পিগমেন্ট বা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ক্যামিকেল বা পদার্থ ব্যবহার করা হয়।


আরোও সহজ ভাষায় বলতে গেলে কাপড়ের কোন ফিনিসড পণ্যের উপর বিভিন্ন রঙের প্যাটার্ন বা ডিজাইন প্রয়োগ করে কাপড়কে সজ্জিত করার পদ্ধতিই হল প্রিন্টিং। সঠিকভাবে কোন প্রিন্ট কাপড়ে রঙ কাপড়ের ফাইবারের সাথে এমনভাবে মিশিয়ে দেয়া হয় যাতে তা সুর্যালোক বা পানির সংস্পর্শে আসলেও উক্ত প্রিন্টের রং ধরে রাখতে পারে।


প্রিন্টিং এর বৈশিষ্ট, কিভাবে কাজ করে?


প্রিন্টিং প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরণের ডাই বা পিগমেন্ট সুনির্দিষ্ট কোন নকসা বা প্যাটার্নের আকারে কাপড়ের উপরিভাবে প্রয়োগ করা হয় যাতে তা ফাইবারে সাথে ভালভাবে মিশে যায়।


ডাই, পিগমেন্ট বা ক্যামিক্যাল ধরে রাখার একটি বিশেষ ধরণের আঠালো তরল পদার্থ ব্যবহার করা হয় যাকে ”Print paste” বলা হয়।


Print paste এর High Viscosity ধর্ম ডাইকে কাপড়ের ফাইবারের সাথে মিশে যেতে সহায়তা করে।


ডাইং এর জন্য কম আঠালো তরল ব্যবহৃত হয় কিন্তু প্রিন্টিং এর বেলায় বেশী আঠালো তরল ব্যবহার করা হয়।


প্রিন্টিং এর জন্য যে সব ডাই ব্যবহৃত হয় তাতে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই Vat, azoic, reactive এবং disperse dye থাকে যাদের রঙ ধরে রাখার গুনাবলি প্রশংসনীয়।


পিগমেন্ট যা বাস্তবিক অর্থে ডাই নয় তা ব্যপকভাবে প্রিন্টিং কাজে ব্যবহৃত হয়। প্রায় ৯৬% প্রিন্টিং কাজে পিগমেন্ট ব্যবহার করা হয়। পিগমেন্টের রং কাপড়ের ফাইবারের সাথে binder দ্বারা মেশানো হয়।

DIGITAL PRINTING TECHNOLOGY

 

TEXTILE PRINTING TECHNOLOGIES OF BANGLADESH 









DIGITAL PRINTING TECHNOLOGY
.
ডিজিটাল প্রিন্টিং মেশিনের বৈশিষ্ট্যগুলি নীচে উল্লেখ করা হয়েছে

 এই প্রিন্ট করতে স্ক্রীনের প্রয়োজন নেই।

 ডিজিটাল ডিজাইন প্রিন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রক্রিয়াটি একটু  আলাদা হয়।  

 বেশিরভাগ ডিজাইন ফটোশপ সফ্টওয়্যার দ্বারা সম্পন্ন হয়।  কখনও কখনও অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর সফ্টওয়্যারও ব্যবহৃত হয়।

 কালার পৃথকীকরণের প্রয়োজন হয় না।  মূল চিত্র বা ডিজাইনের ফাইলটির সাহায্যে কাজটি করতে হয় ।

  ব্রাইডনেচ কালার শুধুমাত্র মূল  ডিজাইনের ফাইলের সেম্পলের সাথে  কন্ট্রাস্ট  করতে হবে।  উদাহরণ: নীট কাপড়ের জন্য ব্যবহৃত কালার বৈসাদৃশ্যটি ওভেন কাপড়ের জন্য একই নয়। নীট ফেব্রিকের জন্য অন্য ধরণের রঙের বৈপরীত্য ব্যবহৃত হয়।

 ডিজাইনের টেক্সচারের উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে ডেভেলপিং ডিজাইনের RGB mode বা CMYK mode  কোন Mode ব্যবহার করা উচিত।

 বেশিরভাগ ডিজাইনে ৮ টি কালি প্রিন্ট কাপড়ের  ব্যবহৃত হয়। সেগুলো হলো
 (A) CYAN (B)MAGENTA (C) RED (D) YELLOW  (E) BLACK  (F) ORANGE  (G)BLUE (H) GREY 

 PC, CVC  মিশ্রিত ফেব্রিক বাদে সমস্ত ধরণের ফেব্রিক প্রিন্ট করা যায়। 

  ডিপ কালারের কাপড় ডিজিটাল প্রিন্টের মান যথেষ্ট ভাল হয় না। 

 হোয়াইট  কালারের প্রিন্ট  সম্ভব নয়।

 পিগমেন্ট, রিয়েক্টিভ, ডিস্পার্স এবং এসিড প্রসেস ডিজিটাল প্রিন্ট দ্বারা করা যেতে পারে।

 RBG এবং CMYK উভয় মোডই  ডিজাইন  ডেভেলপ  করার জন্য এই প্রিন্ট সম্ভব।  কাপড়ের প্রিন্টটি আরও ভাল মানের পাওয়ার জন্য, ডিজাইনের প্রিন্ট  ফাইলটি ক্লিয়ার  করা দরকার।
.
 ডিজাইনটি ডেভেলপ করার সময় রেজোলিউশন 300-1200 pixels/Inch  করতে হবে।  প্রিন্টের মানের উপর নির্ভর করে রেজোলিউশনটি নির্বাচন করা হয়।  উচ্চতর রেজোলিউশন ডিজাইন  ডেভেলপে উচ্চতর সময় নেয়, প্রোডাকশন  ধীরে  হয়ে যায় এবং প্রিন্ট আরও ভাল মানের অর্জন হয়।

 প্রোডাকশনের  হার কম।  প্রোডাকশন  নির্ভর করে মেশিনের হেডের উপর।  হেডের সংখ্যা যত বেশি, প্রোডাকশন  তত বেশি।  সাধারণত প্রোডাকশনের হার 1-3m/min   MS Lario  মেশিনের প্রোডাকশনের হার প্রায় 140m/min  কেবল মাত্র  Robin Tex এই মেশিন  রয়েছে।

 ডিজিটাল প্রিন্টিংটি এসি  রুমে করতে হবে ।  তাপমাত্রা 25 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতা (RH) 65% ± 2% প্রয়োজন।  অন্যথায়, এটি প্রিন্টের হেড এবং কালারের ধারাবাহিকতায় প্রভাব ফেলবে।

 প্রিন্টের আগে ফেব্রিক প্রি-টিটমেন্ট প্রক্রিয়া প্রয়োজন।  তবে কটিং এর জন্য ট্রেডিশনাল প্রিন্টের চেয়ে কম ক্যামিকেলের  প্রয়োজন। 
কটিং এর  জন্য থিকনার, ইউরিয়া, সোডিয়াম বাইকার্বোনেট এবং পানির প্রয়োজন।  কখনও কখনও রেজিস সল্ট ঘন ধরণের  উপর নির্ভর করে ব্যবহৃত হয়।

 পানির ব্যবহার 90% কম এবং বিদ্যুৎ 30% কম।

 কালারেএ কোনও সীমাবদ্ধতা নেই।  ফলস্বরূপ, আরও ভাল সার্ফনেস অর্জন করা যেতে পারে।

 প্রিন্টিং এর  পরে স্টীম প্রয়োজন হয় ।
.
.

ধন্যবাদ

Saturday, June 4, 2022

ROTARY PRINTING TECHNOLOGIES




ROTARY PRINTING TECHNOLOGY
রোটারি স্ক্রিন প্রিন্টিং মেশিন:
 রোটারি স্ক্রিন প্রিন্টিং মেশিনের ভালোমন্দ বৈশিষ্ট্যগুলি নীচে উল্লেখ করা হয়েছে:

১.  রোটারি স্ক্রিন-প্রিন্টিং মেশিনের স্ক্রিনটি রাউন্ড এবং স্ক্রিনগুলি নিকেল দিয়ে তৈরি।
২.  রোটারি স্ক্রিনের রিপিট ডেভেলপিং করার সময়, ডেভেলপার  স্ক্রিনের রিপিট গণনা করে পরিকল্পনার পুনরাবৃত্তি তৈরি করে।  রোটারি স্ক্রিনের রিপিট 641mm,  820mm, 914mm এবং 1018mm ।

 ৩. রোটারি স্ক্রিনের প্রিন্টের সক্ষমতা পরিমাণ 20 টি কালার ।  তবে মেশিন সেটিংয়ের জটিলতার কারণে সাধারণত প্রিন্ট 12 টি কালার ব্যবহারের চেয়ে বেশি করা হয় না।  উদাহরণস্বরূপ, যদি ফেব্রিকের 10 টি কালার থাকে তবে 10 টি স্ক্রিন ব্যবহার করা হয় ।

 ৩. প্রতি মিনিট প্রিন্টের  হার 30-60 মিটার।  ডিজাইনে কম সংখ্যা কালার থাকলে কাপড়গুলি দ্রুত প্রিন্ট করা যায় ।

 ৪. মেশিন কমপ্রেশার বা পাম্পের সাহায্যে ড্রাম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রোটারি স্ক্রিনে পৌঁছে যাওয়া কালারগুলি এবং রোটারি স্ক্রিন প্রিন্টিংয়ে কালার অপচয় বেশি হয়ে থাকে। 

 ৫. রোটারি স্ক্রিনের দাম বেশি।  প্রতি স্ক্রিন বাংলাদেশে প্রায় 5 হাজার থেকে 8 হাজার টাকা হয়।  এটি রোটারি স্ক্রিনের রিপিটের  উপর নির্ভর করে।

 ৬. রোটারি স্ক্রিনে প্রিন্ট করার সময় কোনো রিপিট মার্ক বা জয়েন্ট মার্ক যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। 

 ৭. ডিজাইনের কালার  যত বেশি হবে  প্রিন্টিংয়ে ডিজাইন সেট করার সময় ফেব্রিক ততো অপচয় হয়।

 ৮. রোটারি স্ক্রিন-প্রিন্টিং মেশিনে সমস্ত ধরণের ডিজাইন প্রিন্ট  করা যায় না।

 ৯. যে কোনও ধরণের ফেব্রিক  প্রিন্ট করা যায়।

 ১০. মেশিনটি চলার সময় স্ক্রিনটি ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

১১. কালার অনুপ্রবেশের জন্য, বিভিন্ন আকারের স্টেইনলেস স্টিল রোলার বা ব্লেড স্কুজি স্ক্রিনের অভ্যন্তরে ব্যবহৃত হয়।

 ১২. মেশিনটি খুব দ্রুত চলার কারণে, স্ক্রিন রোটেশনও দ্রুত।  সুতরাং, নির্দিষ্ট সময় প্রিন্টের পরে কিছু পিনহোল  স্ক্রিনে আসে, এই কারণে, মেশিন থেকে স্ক্রীনটি সরিয়ে নিয়ে এবং পুনরায় রিটাচিং  করে পিনহোল সারিয়ে নেয়া হয় ।  তারপরে মেশিনটি আবারো প্রডাকশন এর  জন্য শুরু হয়।
 ১৩. রোটারি স্ক্রিন এক্সপোজ  প্রক্রিয়া জটিল।  স্ক্রিন এক্সপোজ করতে এবং ডেভেলপিং  করতে এটি আরও সময় নেয়।  প্রায় প্রতিটি স্ক্রিন এক্সপোজ  করতে 25 থেকে 35 মিনিট সময় নেয়।

 ১৪. স্ক্রিনটি ডেভেলপ  করার পরে এবং রোটারি মেশিনে সেট করার আগে স্ক্রীনের  আবরণ রাসায়নিক শক্ত করা প্রয়োজন, এর জন্য প্রতিটি স্ক্রিন  20 থেকে 30 মিনিটের জন্য পলিমারিজ মেশিনে পলিমারিজিং  করা হয়।

 ১৫. স্ক্রিনটি  কটিং করার আগে Photo Emolsion RS -100 এবং RS-1203 ব্যবহার করে স্ক্রিনসট দেয়া হয় ।  কটিং এর  জন্য, প্রতিটি স্ক্রিনের জন্য প্রায় 200 গ্রাম রাসায়নিক প্রয়োজন হয় ।

১৬. CMYK  ডিজাইনটি রোটারি স্ক্রিন-প্রিন্টিং মেশিনে পুরোপুরি প্রিন্ট  ভালো হয় না।

 ১৭. রোটারি স্ক্রিন প্রিন্ট  মেশিন স্বল্প পরিমাণ প্রোডাকশনের  জন্য অলাভজনক।

 ১৮. রোটারি স্ক্রিন-প্রিন্টিং মেশিনের প্রাথমিক ইনস্টলেশন ব্যয় খুব বেশি।  সুতরাং, এটি ব্যয়বহুল।

১৯.  Diperse বা Reverse প্রিন্ট  ভালভাবে একটি রোটারি স্ক্রিন-প্রিন্টিং মেশিনে প্রিন্ট করা যায় ।

 ২০. যে কোনো প্রিন্ট  অল্প সময়ের মধ্যেই করা যায় এবং প্রোডাকশন বৃদ্ধির জন্য ভালো ।

২১.  1-পিক্সেল লাইন, 1-পিক্সেল ডট, বা অধিকাংশ স্প্রে ডিজাইন লেজার এক্সপোজিং মেশিনে সূচনামুলোকভাবে ডিজাইন  স্ক্রিনে মেস পুরোপুরি খোলে না।  ফলস্বরূপ, কখনও কখনও ডেভেলপ স্ক্রিন ডিজাইন মূল ডিজাইন বায়ারের ডিজাইনের  সাথে পুরোপুরি মেলে না।
 ২২. যদি ফেব্রিক রোটারি স্ক্রিন-প্রিন্টিং মেশিনে প্রিন্ট হয় তবে ফেব্রিকের ভারী ধাতু (নিকেল) পরীক্ষায় ব্যর্থতার সম্ভাবনা রয়েছে।
২৩. রোটারি স্ক্রিন-প্রিন্টিং মেশিনে স্কেজি চাপের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

 ২৪. প্রোডাকশনের পরে স্ক্রীন  অবশ্যই পানি দিয়ে পুরোপুরি ধুয়ে ফেলতে  হয়,  না হলে স্ক্রীনের  খোলা যায়গাটি ব্লক হয়ে যায় এবং পরের বার প্রোডাকশন করা যায় না।

 ২৫. একটি স্ক্রিন 3/4 বার পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে।

 ২৬. একটি ডিজাইন ডেভেলপ রেজোলিউশন 360, 508, 720 পিক্সেল / ইঞ্চি হওয়া উচিত।  রেজোলিউশন যত বেশি হবে, স্ক্রিন প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এটি তত বেশি সময় নেবে।

 ২৭. এওপিতে কালার প্যান্টোন TCX, TPX বা কালারের এপ্রুভ  Swach এর  সাথে  কালার শেড মিলিয়ে তৈরি করা হয় এবং তারপরে প্রিন্ট  সম্পন্ন হয়।

 ২৮. প্রোডাকশন যে কোনও তাপমাত্রা এবং  আর্দ্রতা  সম্পন্ন করতে  পারে।
 ২৯. ডিপ কালার শেডের কাপড় বা কালো কাপড়ের উপর রোটারি প্রিন্ট  সম্ভব।  এবং হোয়াইট  ফেব্রিকে  যে কোনও ধরণের প্রিন্ট  করা যেতে পারে।
.

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।
#textile_printing_technologies_of_bangladesh
এর সাথেই থাকুন
.

টেক্সটাইল প্রিন্টিং কাকে বলে

টেক্সটাইল জগতে প্রিন্টিং একটি সুপরিচিত নাম। টেক্সটাইলে অল ওভার প্রিন্টিং সেক্টরে যারা কাজ করেন তারা অবশ্যই প্রিন্টিং কি এবং কাকে বলে ...